নাসিমা খান বকুল

পিতা – মোঃ রুহুল আমিন খান। মাতা – আনোয়ারা বেগম। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি জেষ্ঠ্য। ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
বর্তমানে রপ্তানীমূলক প্রতিষ্ঠান এপেক্স ল্যানজরী লিমিটেড এ উপ-মহাব্যবস্থাপক হিসাবে কর্মরত আছেন। ছাত্রজীবনে তিনি স্কুল ও কলেজ ম্যাগাজিনে কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ লিখতেন। সেই থেকে সাহিত্য চর্চা শুরু।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে তার কবিতা ও গল্প পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৯৫ সালে কণ্ঠশীলনের দ্বাত্রিংশ আবর্তনের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক আবৃত্তির সাথে যুক্ত হন। ১৯৯৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের সাথে নিরবিচ্ছিন্ন পথচলা। ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত নির্বাহী পরিষদের নির্বাহী সদস্য এবং ২০০৬ থেকে বর্তমান পর্যন্ত সহ-সভাপতি হিসেবে সংগঠনের দায়িত্ব পালন করে আসছেন নিষ্ঠার সাথে।
মুক্তধারার বৃন্দ পরিবেশনা উদ্দীপ্ত সমাধী, দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, রূপকাহিনীর গাঁয়ে, শ্যামলের বিস্ময়, ইতিহাসচারিণী বাংলা, স্বাধীন সূর্যোদয়, প্রিয় স্বদেশ প্রিয় স্বাধীনতা, আলোকিত চৈতন্যের স্বরে, ঐক্যে বাঁধি বাংলার স্বাধীনতা, আগমনী, ইশতেহার-এ একাধিকবার অংশগ্রহণ করেছেন। তাছাড়া শ্রাবণগাঁথা, স্বদেশের সবুজ চিঠি, শিশুতীর্থ, তবুও জীবন, মুখোমুখি দাঁড়াবার এইতো সময়, নক্ষত্রের মৃত্যু, প্রথম পূজা, হৃদ্যয়ে-চৈতন্যে-বোধে, জান শোনা অচেনা কথা (প্রায় সবক’টি পর্ব), আটকা পরেছি প্রেমকাব্যের আদি জালে, ভাবিকাল যার ডাকনাম, শ্বাশত পদাবলী, কৃঞ্চপক্ষে পূর্ণিমা, পায়ে উর্বর পলিসহ প্রায় সবক’টি প্রযোজনায় তার উপস্থিতি ছিল উজ্জ্বল।
সম্প্রতি তিনি বৃন্দ প্রযোজনা ‘স্বাধীন সূর্যোদয়’ (একাধিক বার মঞ্চায়িত) এবং পূর্ণাঙ্গ প্রযোজনা ‘মুখোমুখি দাঁড়াবার এইতো সময়’ (৪র্থ মঞ্চায়ন)-এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
মুক্তধারা থেকে প্রকাশিত এ্যালবাম ‘হৃদয়-চৈতন্যে-বোধে – ১’ এ আবৃত্তি করেছেন এবং সংগঠনটির ধারাবাহিক অনুষ্ঠান ‘হৃদয়ে-চৈতন্যে-বোধে -৩’-এ তিনি একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রামাণ্যচিত্র যেমন- কুলি, পথশিশু, পানাম নগরির পথে পথে– এ কণ্ঠ দিয়েছেন। প্রামণ্যচিত্র ‘দ্যা টেল অব জিপসি চিল্ড্রেন’-এর পাণ্ডুলিপি রচনা করেছেন। এই প্রামাণ্য চিত্রটি ২০০৬ সালে ইউনিসেফ এর মিনা পুরস্কার লাভ করে। ১৯৯৮ সালে তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘হৃদয়ের গভীরে‘।
টেলিভিশনের বিভিন্ন আবৃত্তি অনুষ্ঠানে দলীয় এবং এককভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। তাছাড়াও বিটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘সূবর্ণ উচ্চারণ‘ ও বিভিন্ন মঞ্চে উপস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন। তিন জন আবৃত্তিদের নিয়ে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী কর্তৃক নিয়োমিত আয়োজন ‘এইতো জীবন এইতো মাধুরী‘-তে আবৃত্তি পরিবেশন করেন ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০১৫।
তিনি সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করেছেন। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করলেও আবৃত্তি নিয়েই বাকী জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখেন তিনি।
নাসিমা খান বকুল
সহ-সভাপতি,
মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র
নাসিমা খান বকুলের পছন্দের কিছু কবিতাঃ
কবিতা | কবি |
---|---|
বাংলার মুখ আমি | জীবনানন্দ দাশ |
মায়ের কাছে চিঠি | তসলিমা নাসরিন |
স্মৃতির শহর | সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় |
বিদ্রোহী বলে সনাক্ত করে ওরা | শামসুর রাহমান |
আয় বৃষ্টি ঝেপে | মাহাবুব হাসান |
দুঃস্বপ্ন স্বদেশে | সৈয়দ শামসুল হক |
তোমার এত অহংকার কেন? | তসলিমা নাসনিরন |
রঙ রেজিনী | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
শাবণগাঁথা (অংশ বিশেষ) | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
যদি | অঞ্জনা সাহা |
বাতাশে লাশের গন্ধ | রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ |
সহসা জ্বলে উঠে সেই সাহস | শেখর বরণ |
নাসিমা খান বকুলের আবৃত্তি করা কিছু কবিতার ভিডিও লিংকঃ ভিডিও ক্লিপ