রফিকুল ইসলাম। জন্ম ১৫ ডিসেম্বর ১৯৬৪, বাইখীর, বোয়ালমারী, ফরিদপুর। বাবা মৃত মো: মোতালেব মোল্লা, মাতা মোছা. রিজিয়া বেগম, স্ত্রী নূরজাহান আক্তার কেয়া। এগার ভাইবোনের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। লেখাপড়া বাইখীর-বনচাকী সিনিয়র মাদ্রাসা, বনচাকী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চতুল জুনিয়র হাই স্কুল, বোয়ালমারী জর্জ একাডেমী, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, বোয়ালমারী সরকারি কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম এ। বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কর্মসূচি সমস্বয়কারী।
ছোটবেলায় বাবা-মায়ের কোলে শুয়ে ছড়া কাটতে কাটতে আবৃত্তি চর্চা শুরু। ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত আবৃত্তি চর্চায় নিয়োজিত। প্রথম একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান ‘ভুলে যেতে ভুলে যাই’ (২০০৫), দ্বিতীয় একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান ‘স্বপ্ন নিয়ে স্বপ্ন দেখি’ (২০১৩)। বেতার, টেলিভিশন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, নজরুল ইন্সটিটিউটসহ বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলা, উপজেলা ও থানা শহরে আবৃত্তি পরিবেশন এবং প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন এবং উপস্থাপনা করে থাকেন। মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফেস্টিভালে ২০১০-এ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রেরিত সাংস্কৃতিক দলের সদস্য হিসেবে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন। ইতোমধ্যে পঁয়ত্রিশটিরও অধিক প্রামাণ্যচিত্রে ধারা বর্ণনায় কন্ঠ দিয়েছেন। এছাড়াও বিজ্ঞাপনচিত্র ও ডাবিং-এ কন্ঠ দিয়ে থাকেন।
প্রায় দু’শর অধিক আবৃত্তি ও আলেখ্যানুষ্ঠানের পান্ডুলিপি গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন। আবৃত্তি-প্রশিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। আবৃত্তি বিষয়ক লেখালেখির সঙ্গেও যুক্ত। কবিতা লেখায়ও তার হাত আছে। বোয়ালমারী থেকে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা কাশফুল-এর সম্পাদক এবং কল্লোল-এর সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আমরা ক’জনা, শুকতারা সাহিত্য গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য উদয়ন সঙ্গীত বিদ্যালয়। সাবেক সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক দল। ছাত্র-রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র ও বর্তমান নির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রায় সূচনাকাল থেকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, বর্তমানে পরিষদের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও জোটের প্রকাশনা সম্পাদক।
রফিকুল ইসলাম
সভাপতি
মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র