Well Wishers’ Testimonial
বাংলাদেশের স্বৈরাচারবিরধী আন্দোলনের পথ ধরে যে আবৃত্তি আন্দোলনের শুরু হয়েছিল শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে আজ তা সারাদেশে ছড়িয়েছে। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে আবৃত্তির সাংগঠনিক চর্চায় আজ আবৃত্তি একটি স্বতন্ত্র শিল্প মাধ্যমে রূপ লাভ করেছে। (more…)

বাংলাদেশের সংগঠন ভিত্তিক আবৃত্তি চর্চা তিন দশক অতিক্রম করেছে। এই সময়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতির ধারায় এটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। কারণ তরুণদের ব্যাপক অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হয় সংগঠন ভিত্তিক আবৃত্তি চর্চায়। যে তরুণদের লিখে দিতে হয় না দেশের প্রতি নিবেদিত হতে। (more…)

‘এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’। এ কথাটি যদি সত্য হয় তাহলে বলতেই হয় সংস্কৃতিকর্মীদের যুদ্ধে অপরাপর সংস্কৃতিকর্মীদের মতোই আবৃত্তিকর্মীরা তার যৌবনদৃপ্ত পদচারণা ও অর্মকাণ্ড দিয়ে বিগত প্রায় তিন দশক সময় ধরে তার প্রমাণ রেখে চলেছে। (more…)

কবির গভীর ছুঁয়ে …
ওরা আমার রক্তাক্ত বর্ণমালা বুকে এঁটে –
আমার মাতৃভাষাকে হৃদয়ে ধারণ করে,
মনে হয় সেই বায়ান্ন থেকে একাত্ত্র … (more…)

মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের পঁচিশ বছর পূর্তিতে আমারা আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
কবিতাকে প্রাণে ধারণ করে কণ্ঠে তুলে আনেন আবৃত্তি শিল্পী।
তাঁর এই সৃজন ও উপস্থাপন কর্মটি উপভোগ করেন শ্রোতা ও দর্শক। (more…)

আবৃত্তি আজ বাংলাদেশে জনপ্রিয় একটি শিল্প মাধ্যম। কেবল শিল্পের প্রয়োজনে নয়, ব্যবহারিক জীবনে আবৃত্তি চর্চা একজন মানুষকে সমৃদ্ধ করে। ভালো করে শুদ্ধ উচ্চারণে যিনি কথা বলতে পারেন, তাঁর কথার প্রতি সবাই গুরুত্ব দেন। কবিতাকে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে আবৃত্তিশিল্পী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। (more…)

মনুষ্য-জীবনকে আলকিত ও আনন্দময় রাখা মানুষের সহজাত আকাঙ্ক্ষা। আর এই আকাঙ্ক্ষার সফল বাস্তবায়নের জন্য ব্যক্তি মানুষ জীবন চলার পথ বেছে নেয়, করণীয় নির্ধারণ করে এবং যুথবদ্ধভাবে কার্যসম্পাদনে উদ্যোগী হয়। সামাজিক বন্ধন এবং মানব সভ্যতার উদ্ভবও এ যুথবদ্ধতার কারণে। (more…)

জীবন যুদ্ধের প্রতিটি মুহূর্তে কবিতা শক্তি, সাহস ও বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যোগায়, জীবনকে স্পর্শ করে যায় অনিন্দ্য সুন্দর বাক্প্রতিমায়। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে আমাদের সকল গণতান্ত্রিক আন্দলনে এদেশের কবি ও তাদের কবিতা অসীম সাহসে মানুষকে দেশপ্রেমের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত করেছ। (more…)

sume20160902
ঘাতক-দালাল-যুদ্ধাপরাধী-রাজাকার বিরোধী আন্দোলন ও তাদের বিচারের দাবীতে আন্দোলন থেকে শুরু করে মহিমা, ফাহিমা, পূর্ণিমা, তনু হত্যা ও নির্যাতনসহ সকল প্রতিবাদ ও সংগ্রামে মঞ্চে, রাজপথের উজ্জ্বল সহযাত্রী শিল্পী ও কর্মী মাহমুদা সিদ্দিকা সুমি। তার একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্যে মুক্তধারাকে ধন্যবাদ।
অভিনন্দন সুমিকে। তার এই একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান সুন্দর ও সফল হোক। জয় হোক আবৃত্তির।

আবৃত্তিশিল্পী সুমি’র একক পরিবেশনা দলের অনুষ্ঠান হিসেবে গণ্য হলো এবং মঞ্চায়ন ২ সেপ্টেম্বর । নিঃসন্দেহে এ সুখবর। সুমী সংসারের দশদিক সামাল দিয়ে সংগঠন করে। সাংগঠনিক কার্যক্রমের সবটা জুড়েই ওর প্রবল উপস্থিতি আমাকে মুগ্ধ করে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সংগ্রাম-সৃজনের সকল আয়োজনে মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র দলবেঁধে অংশগ্রহণ করে। বিশেষ করে মেয়েরা গত পাঁচ বছর মিছিলের অগ্রভাগে ব্যানার হাতে রাজপথে ছিল নির্ভিক। তাঁদের প্রতি আমার সম্মান অটুট রাখবে তাঁরা এ বিশ্বাস আমার আছে।
সুমি ইতোমধ্য মিছিলের প্রিয়মুখ হয়ে উঠেছে সংস্কৃতি অঙ্গনে। শহীদ মিনারের শতরঞ্জিতে সাদা শাড়ির শ্যামলা মেয়েটির উপস্থিতি যেন আজ অনিবার্য এক বিষয়। সেই মেয়েটি তাঁর নিজস্ব সৃজন চিন্তার পসরা নিয়ে মঞ্চে দাঁড়াবে এতো তাঁরই সংগ্রামের সারথীদের জন্যে আনন্দ সংবাদ। মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের সকল কার্যক্রমে নারী শিল্পী-কর্মীদের ভূমিকা ও তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। এই সুবাতাস আমাদের সংস্কৃতি অঙ্গনের প্রতি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাক।
সুমিকে মাঝে মাঝে সন্তানের হাত ধরে টি.এস.সির সবুজ চত্ত্বরে বা চায়ের দোকানের আড্ডায় সামিল হতে দেখি। আমি মুগ্ধ নয়নে ঐ দৃশ্য অবলোকন করি আর শ্রদ্ধায় আমার মন ভরে ওঠে, আমার চোখ আদ্র হয় ছোটবেলার আমার মায়ের হাত মনে পড়ে।
সুমি দলের আশা, দশের আশা পূর্ণ করুক শিল্পের শর্তে এই প্রত্যাশা।

বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানুষ খুবই আত্মকেন্দ্রিক ও যান্ত্রিক হয়ে পড়েছে। রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠার চেষ্টায় লিপ্ত। সাধনা ও সিদ্ধির পথে আর তাঁদের ধৈর্য্য থাকে না। কিন্তু এই সময়েও কেউ কেউ হাঁটছেন বর্তমান স্রোতের বিপরীতে। শিল্পের শুদ্ধরূপ চর্চা ও নিজের মধ্যে ধারণ করার জন্য ব্রতী হয়েছেন যারা মাহমুদা সিদ্দিকা সুমি তাঁদের অন্যতম। মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র এর সাথে তিনি ১৯৯৫ সালে থেকে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন তিনি আবৃত্তি চর্চায় নিবেদিত। আবৃত্তির মঞ্চে তিনি সরব সব সময়ই। প্রতিবাদ-সংগ্রামেও তিনি ছিলেন সর্বাগ্রে। তাঁর একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান ‘মেঘ-বৃষ্টি-রোদে’ সফল হোক।
অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আবৃত্তির জয় হোক।

বাংলাদেশে শিল্প হিসেবে আবৃত্তির দুটি অনিবার্য দিক রয়েছে- ১. আবৃত্তি চর্চা এবং ২. আবৃত্তি শিল্পের জন্য লড়াই। আমার এবং আমার পরবর্তী প্রজন্মের অনেকেই এর যেকোনো একটি দিকেই মনোনিবেশ করেছেন। অপরটি থেকে গেছে অবহেলিত। সুমিকে আমার প্রথম অভিনন্দন, শ্রদ্ধা ও ঈর্ষা সেখানেই- সে একাধারে আবৃত্তি চর্চা ও আবৃত্তির জন্য লড়াই এর একজন নিরন্তর নিবেদিত কর্মী। সুমি একটু একটু করে নিজেকে তৈরি করেছে এবং প্রতিনিয়ত উৎকর্ষতার সাধনায় রত রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি সুমির প্রথম একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান তার আবৃত্তি জীবনের কোনো চূড়ান্ত ফসল নয়, বরং সাগর তীরের অসংখ্য নুড়ির মধ্যে একটি নুড়ি কুড়ানোর প্রয়াস মাত্র। এমন অজস্র নুড়িতে সমৃদ্ধি হবে তার আগামীর পথচলা। সুমির লাস্যময়তা, তারুণ্য, আবৃত্তি অঙ্গনে বর্ণিল উপস্থিতি এবং সর্বোপরি শিল্পী হিসেবে উদাত্ত উচ্চারণ আমাদের প্রাণিত করে, সাহসী করে। এই প্রাণ। এই সাহস সঞ্চারিত হোক আবৃত্তির সব প্রজন্মে। সুমি, সার্থক হোক তোমার একক আবৃত্তির প্রথম অনুষ্ঠান।

ওরে কে আছে মুক্ত জীবন নিয়ে ছন্নছাড়া-
আপনাকে ভালোবেসে আপনদেশে ঠিকানাহারা?
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ সবার।
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও শুনাবো গান আজ সারারাত।হ্যাঁ সংসার, সন্তান পরিবার সব কিছু সামলে শিল্পের আঙ্গিনায় পা রেখে কবিতাকে সাথী করে নৌকা ভাসিয়ে চলছে সুমি।
কিসের তাড়নায়? যেখানে অর্থদ-ি, বিকেলে বাসের জন্য ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা, দেরিতে পৌঁছলে নির্দেশকের বকুনি, রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হলে বাসার লোকের গম্ভীর মুখ এইতো প্রাপ্তি। তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত ধামে।প্রাপ্তিতো আছেই, যে কবিতা শুনতে জানে না সে মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতে পারে না, মানুষকে ভালোবাসতে পারে না। ‘সুমি’ আমাদের বন্ধু, মোরা যাত্রি একই তরণীর, সহযাত্রী একই তরণীর। তাঁর ‘একক আবৃত্তি’ সাহসি পদক্ষেপ অনেকগুলো কবিতার মালা গেঁথে হাজির হচ্ছে দর্শকদের সামনে। কিছু হাততালি নিয়ে ক্লান্ত দেহে বাড়ি ফেরা। এই প্রাপ্তিটুকু ছাড়া আর কিইবা চাই আমরা! মানুষের ভালোবাসা পাওয়া আর মানুষকে ভালোবাসা দেয়া। এটাই এই ছন্নছাড়া জীবনের প্রাপ্তি।
সদা হাস্যময়ী, কাব্যপ্রেমী, বিনয় যার ধর্ম, প্রতিবাদ যার অহঙ্কার সততা যার অলংকার সেই সুমির আবৃত্তি শুনে আরেকটি সন্ধ্যাকে উপলব্ধি করি সুমির সাহসি উচ্চারণে।
এগিয়ে যাও বন্ধু, এগিয়ে যাও সহযাত্রী।

সৌম্য সুমি, সাম্যে সুমি, সংগ্রামে সুমি। আবৃত্তিশিল্পের সাধনায়, নিজস্ব চর্চায়, সাংগঠনিক চর্চায়, আবৃত্তি আন্দোলনে এবং সকল সাংস্কৃতিক আন্দোলন তথা প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মঞ্চে, রাজপথে সুমির উজ্জ্বল উপস্থিতি দীর্ঘদিনের।
প্রায় ২০ বছরের সক্রিয় আবৃত্তিশিল্পী ও কর্মী সুমির একক আবৃত্তি অনুষ্ঠানে সৌম্য-সাম্য আর সংগ্রামের উচ্চারণ দর্শক-শ্রোতা নন্দিত হোক এই প্রত্যাশা।
মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রকে ধন্যবাদ এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য।
জয় হোক সুমির, জয় হোক আবৃত্তির।
