মনুষ্য-জীবনকে আলকিত ও আনন্দময় রাখা মানুষের সহজাত আকাঙ্ক্ষা। আর এই আকাঙ্ক্ষার সফল বাস্তবায়নের জন্য ব্যক্তি মানুষ জীবন চলার পথ বেছে নেয়, করণীয় নির্ধারণ করে এবং যুথবদ্ধভাবে কার্যসম্পাদনে উদ্যোগী হয়। সামাজিক বন্ধন এবং মানব সভ্যতার উদ্ভবও এ যুথবদ্ধতার কারণে।
কালের যাত্রায় মানুষের প্রয়োজনে মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ ঘটেছে নব রূপে। এ গাঙ্গেও বদ্বীপের রাজনৈতিক পরিচয় পাল্টাতে পাল্টাতে আজ একটি জায়গায় এসে স্থিতি পেয়েছে। তবে মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং এগিয়ে চলার কোন বিরাম নেই, স্থিতি নেই। স্বাপ্নিক মানুষ শিক্ষা এবং সংস্কৃতিতে অবগাহন করে স্বপ্নের বীজ বোনে। এ বীজ থেকে চারা গজায়, শাখা-প্রশাখা প্লবিত হয়। কখনও কখনও ফুল ও ফলের স্নীগ্ধতায় মৌ মৌ গন্ধে আমোদিত হয় পরিবেশ, অনাবিল আনন্দে ভরে ওঠে মানুষের মন।
কতিপয় স্বাপ্নিক মানুষের যৌথ সৃষ্টির নাম মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র। মানুষের চিন্তাকে প্রসারিত করে নান্দনিক সমাজ নির্মাণে কণ্ঠ এবং দেহের ভাষাকে যারা নিত্য পরিচর্যা করে চলেছে মুক্তধারার সে স্বজনেরা আমাদেরই রক্ত কণিকার অংশ। তাদের অগ্রযাত্রা আর সৃষ্টিশীলতায় আমরাও গৌরববোধ করি।
জয় হোক মুক্তধারার, জয় হোক আবৃত্তির, জয় হোক মানুষের।
গোলাম কুদ্দুছ,
সভাপতি,
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট